Thursday, July 4, 2019

ডিসপেপসিয়া নিরাময়ে হোমিওপ্যাথি

ডিসপেপসিয়া নিরাময়ে হোমিওপ্যাথি


মানুষের মেরুদণ্ডে শক্ত হাড় ছাড়াও হাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে নরম হাড় (ইন্টারভারটেব্রার্ল ডিক্স/জ্যলের মতো) থাকে, যা গাড়ির স্প্রীং বা শক অ্যাবজারবারের মতো কাজ করে। সাধারণত আরও অনেক কারণ ছাড়াও একটানা বসে থাকার কারণে ডিস্কের স্থানচ্যুতি (প্রোলাপস) হয়ে সংলগ্ন মেরুরুজ্জু (স্পাইনাল কর্ড) বা স্নুায়ুমূলের (নার্ভ রুট) উপর চাপ পড়ে, ব্যথা পায়ের দিকে নামতে শুরু করে। এভাবেই ব্যথার উৎপত্তি শুরু হয়। বর্তমানে আমাদের দেশে এই ধরনের কোমর/ঘাড় ব্যথা মানুষের সংখ্যা কম নয়।
আমরা জীবনের প্রায় সময় কর্মস্থলে বসে বা দাঁড়িয়ে কাটাই। কেউ ৮ থেকে ১০ ঘন্টা বা কেউ আরও বেশি সময় ব্যয় করেন। যাঁদের কোমর, ঘাড়, হাঁটু, গোড়ালি ব্যথা এবং শরীরে মেদে পরিপূর্ণ (মোটা হওয়া)। আপনি যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, কয়েক মিনিটের জন্য হলেও চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ান এবং রিলাক্স করুন। প্রথমে উঠে হাঁটাহাঁটি/পায়চারি করা এবং শরীরকে একটু এদিক–সেদিক নড়াচড়া করা। এরপর হাত দু’টা শরীরের দু’দিকে প্রসারিত করে ডানে–বাঁয়ে ঘুরিয়ে নিন। কোমরটাকে একটু সামনে–পেছনে, ডানে–বাঁয়ে ও চক্রাকারে ঘুরাতে পারেন। এগুলো ছাড়া উঠা–বসাও করতে পারেন। এভাবে ২–৩ ঘন্টা পর পর অবশ্যই করবেন। যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন একটানা বসে বা দাঁড়িয়ে কাজ করার কথা পরিবর্তন করুন। যদি আপনি সময় বের করতে না পারেন তবে দুপুরের খাবার/লাঞ্চ করার আগে করে নিতে পারেন। এগুলো করার জন্য যদি পরিবেশ না থাকে তবে সিঁড়ি বেয়ে উপরে–নিচে উঠা–নামা করতে পারেন। এছাড়া যাঁরা নামাজ পড়েন তাঁরা নামাজ পড়তে পারেন। আমি নিজেরও একটানা চেয়ারে বসে বা কাজ করার ফলে এমন সমস্যা হয়ে থাকে। আমি কখনও একটানা বসে কাজ করি না, কিছুক্ষণ বসে থাকলে উঠে হাঁটাহাঁটি বা শরীর নড়াচড়া করে পুনরায় বসি। এভাবে কিছু সময় ব্যয় করার ফলে আপনার অফিসে কাজের গতি বাড়বে, আপনি সুস্থ ও প্রাণবন্ত থাকবেন সব সময়।
ডিসপেপসিয়া বা অজীর্ণ এমন একটি রোগ যা বেশিরভাগ লোককেই কম বেশি এ সমস্যায় পড়তে হয়। পল্লী অপেক্ষা শহরবাসীরাই এই রোগে অধিক আক্রান্ত হয়ে থাকে।
ডিসপেপসিয়া কি :
ডিসপেপসিয়া অর্থে গরহজম, আমরা যা আহার করি, তা রীতিমত পরিপাক না হলে শরীরস্থ সমস্ত যন্ত্রের ক্রিয়ার ব্যতিক্রম হয়, ফলে শরীর ক্রমশঃ দুর্বল, রক্তহীন ও অকর্মণ্য হয়ে পড়ে, এটিই ডিসপেপসিয়া বা অজীর্ণ রোগ। এই রোগের প্রকারভেদ আছে, যথা– তরুণ অজীর্ণ এবং পুরাতন অজীর্ণ।
১. তরুণ অজীর্ণ রোগ : ইহাতে হঠাৎ আক্রমণ করে। সাধারণত খাবারের হের ফের জনিত কারণে হয়ে থাকে। চিকিৎসা এবং উপবাস বা আহারে সংযমী হলেই ২/১ দিনের মধ্যে রোগী আরোগ্য লাভ করে থাকে।
২. পুরাতন অজীর্ণ রোগ : যদি দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে তবেই পুরাতন অজীর্ণ দোষ বা ক্রনিক ডিসপেপসিয়া হয়ে দাঁড়ায়। সাধারণত বয়স্কদের এই ক্রনিক ডিসপেপসিয়া রোগ হয়ে থাকে। এতে পাকাশয়ের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লিসমূহে প্রদাহজনিত পরিবর্তনাদি সংঘটিত হয়। এর সাথে পাকাশয়ের শৈথিল্যভাব কিংবা বিবৃদ্ধি সংযুক্ত হতে পারে। ফলে পাকস্থলীতে পরিপাক বা হজমশক্তি কমে যায়।
ডিসপেপসিয়ার কারণ:
১. পরিপাক যন্ত্রের যান্ত্রিক পরিবর্তন, যেমন পাকস্থলীর ক্ষত বা পেপটিক আলসার, পিত্তথলিতে পাথর, আইবিএস (খাদ্যনালীতে খাবার সহ্য না হওয়ার সমস্যা), অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার, অন্ত্রে ক্যানসার, মায়োকার্ড্রিয়াম ইসকেমিয়া (হৃদপিন্ডের মাংসপেশিতে রক্তপ্রবাহে স্বল্পতা), দীর্ঘস্থায়ী বৃক্কের নিস্ক্রিয়তা (ক্রনিক রেনাল ফেইলিওর) ইত্যাদি কারণে ডিসপেপসিয়া হয়।
২. পরিপাক যন্ত্র হতে যে সমস্ত রস নিঃসৃত হয়ে ভূক্ত দ্রব্য পরিপাক হয়, তাদের পরিমাণ বা গুণের তারতম্য, যেমন–অতিরিক্ত চিন্তা, কু–সংবাদ, শোক, পাঠ ইত্যাদিতে নার্ভাস–সিস্টেমের স্বাভাবিক ক্রিয়ার ব্যতিক্রম হয় তাতে ডিসপেপসিয়া হয়।
৩. অবৈধ পানাহার যেমন মদ্যপান, অতিরিক্ত লংকা, মরিচ, রাই প্রভৃতি ব্যবহার, আইসক্রিম, অতিরিক্ত চা, কফি ইত্যাদি। স্টিমুল্যান্ড ও উত্তেজক দ্রব্যাদি পানাহারে এবং বাজারে প্রস্তুত বাসি, পচা, অখাদ্য–কুখাদ্য আহারে ডিসপেপসিয়া হয়।
৪. অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ : কিছু কিছু এলোপ্যাথিক ওষুধ এর কারণে ডিসপেপসিয়া হতে পারে। যেমন–এনএসএআইডি (প্রদাহ ও ব্যথা কমানোর ওষুধ) কর্টিকো, স্টেরয়েড, ডিগক্সিন, আয়রন এবং পটাশিয়াম সাপ্লিমেন্ট। এছাড়া মদ পান করলে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হলে এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় ডিসপেপসিয়া হয়ে থাকে। খুবই সতর্ক হতে হবে যদি এসব কারণের সঙ্গে শরীরের ওজন কমতে থাকে, রক্তশূন্যতা দেখা দেয় ও ঢোক গিলতে অসুবিধা হয়। রক্ত বমি হয়, কালো পায়খানা হয়। কিংবা উভয়ই হতে থাকে এবং পেটে কোনো চাকা অনুভূত হয়। তাহলে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ডিসপেপসিয়ার লক্ষণ:
১. কোষ্ঠবদ্ধ (ডিসপেপসিয়ার একটা প্রধান লক্ষণ)।
২. ক্ষুধালোপ কিংবা রাক্ষুসে ক্ষুধা, সর্বদা ঝাল, অম্ল, গরম মশলাযুক্ত দ্রব্যাদি আহারে ইচ্ছা।
৩. পাকস্থলীতে বায়ুজমা ও সেই বায়ু ঊর্ধ্বগতি হয়ে শ্বাস–প্রশ্বাসে কষ্ট, বুক ধড়ফড়ানি, বিষাদ ঢেকুর।
৪. পাকস্থলীতে অম্ল সঞ্চয় তজ্জন্য টক্‌ ঢেকুর, চোঁঙ্গা ঢেকুর, বুক জ্বালা, মুখে জল উঠা, গলায় পুটুলি আটকিয়ে থাকা বোধ ইত্যাদি।
৫. ভুক্তদ্রব্য পরিপাক না হয়ে বমি হওয়া, বাহ্যে হওয়া ।
৬. পাকস্থলীর ঊর্ধ্বদেশে অগ্রকড়ার স্থানে বেদনা স্পর্শকাতরতা, পেট সর্বদা ভারীবোধ ও পেটে অশান্তি এবং পেট ফুলে দমশম হওয়া।
৭. শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমে অনিচ্ছো, অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্তি, অবসাদ, মনমরা, স্ফুর্তিহীনতা, মেজাজ খিটখিটে একটুতেই ক্রোধ, অনিদ্রা, নিদ্রায় স্বপ্ন নিদ্রায় প্রায়ই বোবায় ধরা, মাথাধরা, বসা থেকে দাঁড়ালে চোখে কম দেখা, অন্ধকার দেখা, মুখের চেহারা বিবর্ণ, ক্লিষ্ট চোখ বসা, শরীরের রঙ ফেকাসে কিংবা হলদে হওয়া, ঠোঁটের মুখের, জিবের, চোখের রক্ত কমে আসা প্রভৃতি।
৮. হাত পা সর্বদা ঠাণ্ডা, একটু ঠাণ্ডাতেই ঠাণ্ডা লাগা।
৯. ক্রমশঃ শরীরের মাংস ও শক্তি কমে আসা, শীর্ণ অকর্মণ্য ও দুর্বল হয়ে পড়া।
১০ . সকল কাজে অনিহা ভাব থাকা ।
পরীক্ষা–নিরীক্ষা :
চিকিৎসকের পরামর্শ মতো যার ক্ষেত্রে যেটি প্রযোজ্য সেই অনুযায়ী পরীক্ষা করতে হবে, যেমন–আলট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি, বুকের এক্সরে, রক্তের ইউরিয়ার পরিমাণ নিরূপন, ইলেকট্রোলাইট, যকৃত ক্রিয়ার পরীক্ষা (লিভার ফাংশান টেস্ট) ইত্যাদি।
পথ্যাদি:
যতক্ষণ পরিপাকের ব্যাঘাত বর্তমান থাকে, ততক্ষণ কোন গুরুপাক খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করা অবিধেয়। দুধসাগু, দুধবার্লি, কচি ডাবের জল, ঘোলের শরবৎ এবং অবস্থা বিশেষে জীয়েল মাছের ঝোল, নরম ভাত ও রাত্রিকালে দুধ, প্রভৃতি সহজপাচ্য খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করা উচিত। খুব বেশি পরিমাণে খাওয়াও ঠিক হবে না।
হোমিওপ্যাথিক প্রতিবিধান :
ডিসপেপসিয়া নিরাময়ে হোমিওপ্যাথিতে অত্যন্ত ফলদায়ক ওষুধ আছে। লক্ষণ সাদৃশ্যে নির্দিষ্ট মাত্রায় নিম্নলিখিত ওষুধ প্রয়োগ করে এই রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যায়। যথা : ১. নাক্সভমিকা ২. এন্টিমক্রুড ৩. পালসেটিলা ৪. সালফার ৫. ইপিকাক ৬. লাইকোপোডিয়াম ৭. কার্বোভেজ ৮. চায়না ৯. নেট্রামফস ১০. ম্যাগনেসিয়া ফস ১১. ক্যালিমিউর ১২. আর্সেনিক ১৩. ব্রায়োনিয়া ১৪. ফসফরাস ১৫. ক্যালকেরিয়া ১৬. আইরিস ভার্স ১৭. এসিড ফস ১৮. পডোফাইলাম ১৯. সিপিয়া ২০. কোনিয়াম ২১. অ্যালুমিনা, ২২. অ্যালোজ, ২৩. অ্যানাকার্ডিয়াম ২৪. আর্সেনিকাম ২৫. আর্জেন্ট নাট্রিকাম ২৬. অ্যামোন মিউর, ২৭. সালফিউরিক এসিড ২৮. বিসমার্থসহ আরো ফলদায়ক ওষুধ আছে। তার পরেও চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করা উচিত।
সরাসরি যোগাযোগঃ
বংশাই হোমিও
ডাঃ এম.নূর এ আলাম মাসুদ
ভুইগড় বাজার বাসস্ট্যান্ড,রুপায়ন মডেল টাউন,
ফাতুল্লা,নারায়নগঞ্জ।
ফনে-০১৭৬১৮৫০২৮০

সিফিলিস রোগ ও এর প্রতিকার

সিফিলিস রোগ ও এর প্রতিকার

বর্ননা :- সিফিলিস বা উপদংশের বাংলা নাম গর্মি পীড়া । সিফিলিস পীড়াগ্রস্হ পুরুষের সাথে মেয়ের বা সিফিলিস পীড়া গ্রস্হ মেয়ের সাথে পুরুষ মেলামেশা করিলে এই রোগে আক্রান্ত হইয়া থাকে, অর্থাৎ সিফিলিস রোগগ্রস্হ্য পুরুষ ও স্ত্রীর সহবাস হলে এই রোগ জম্মে ।
লক্ষনঃ- রোগের প্রথম অবস্হা ১০ দিন হইতে ৪৫ দিনের মধ্যে জননেণ্দ্রিয়ে একটি ফুস্কুরি জম্মে । ইহা ক্রমশ বর্দ্ধিত হইতে থাকে এবং তাহাতে উত্তাপ ও বেদনা হয় । পরে ঐ ফুস্কুরি ক্ষতরুপে প্রকাশ পায় এবং ঐ ক্ষতের মধ্যস্হল গভীর হইয়া যায় । এই ক্ষত হইতে রস নির্গত হয় । জননেণ্দ্রিয়ে অসহ্য যণ্ত্রনা হয় , জননেণ্দ্রিয় ফুলিয়া উঠে । ক্ষত অত্যধিক বৄদ্ধি পইলে জননেণ্দ্রিয় পঁচিতে আরম্ভ করে । রোগীর শরীরে জ্বর ভাব বা জ্বর কখন ও বা প্রবল জ্বর হয় ।
দ্বিতীয় অবস্হা :- শরীর কৄশ ও রক্তশূন্য হয় । সব শরীরে পীড়কা(eruption) প্রকাশ পায় । রোগীর মাথার চুল উঠিতে আরম্ভ করে, হাতে বেদনা হয় । আলাজিহ্বার দুই পার্শ্বে ক্ষত হয় । শরীরের নানা স্হানের গ্রণ্হি বৄদ্ধি প্রাপ্ত হয় ।রোগীর চক্ষু রোগ জন্মে ।
তৄতীয় অবস্হা :- এই সময় ইহা শরীরের যে কোন অংশ বা যন্ত্র আক্রমন করিতে পারে । গাত্রচর্ম, শ্লেষ্মিকঝিল্লি(mucous membrane), স্নায়ু সমূহ বিশেষত: মস্তিস্ক আক্রান্ত হয় । শরীরের স্হানে স্হানে গোটা উৎপণ্ন হয় এবং পরে তাহাতে ক্ষত জম্মে ।উহাতে যাতনা থাকে । বাতরোগ হাত পা ফুলা, হৄদরোগ, স্নায়ুশুল, যক্ষ্মা, নাকে ক্ষত, মুখক্ষত, মলদ্বারক্ষত ইত্যাদি জন্মে । নাসিকার ভিতর ক্ষত হইলে নাক খসিয়া পড়ে । অণ্ডকোষ শক্ত হয় ।স্ত্রী সহবাসে শক্তি থাকে না । স্ত্রী লোকের ডিম্বাশয়(ovaries) আক্রান্ত হয় । গর্ভধারন নষ্ট হয় ।
পৈএিক সিফিলিসঃ- স্বামী বা স্ত্রী সিফিলিস রোগে আক্রান্ত হলে তদাবস্হায় উভয়ের সহবাসে যদি গর্ভ সঞ্চার হয়, তাহা হইলে অনেক স্হলে গর্ভ ধারিনীর ৫ম বা ৬ষ্ঠ মাসে গর্ভস্রাব হইয়া থাকে অথবা পূন গর্ভাবস্হায় মৃত সন্তান ভূমিষ্ট হয় ।জীবিত সন্তান ভূমিষ্ট হইলে একমাস বা দেড় মাসের শিশুর শরীর কৃশ হয় ও নাসারণ্দ্রে নানা প্রকার পীড়া প্রকাশ পাইয়া থাকে । শিশু ক্রমশ মলিন হয় এবং অল্প দিনের মধ্যেই কটির নিম্ম ভাগে, গুহ্যদেশের চর্তুদিকে ও গায়ে তাম্র বর্নের স্ফোটক প্রকাশ পায় এবং ঘাড়ে, গলায় ও অণ্যান্য সন্ধিতে দাগ লক্ষিত হয় ।মুখের ভিতরে ও বাহিরে ক্ষত প্রকাশ পায়, ওষ্ঠ ও নাসিকা ফাটিয়া যায়, চর্ম আকুঞ্চিত হয় | এই সময়ে যথারীতি চিকিৎসা না করিলে অনেক স্হলে শিশুর মৃত্যু হইয়া থাকে । জীবিত থাকিলে ও যে কয়দিন জীবিত থাকে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করে ।
যাহারা লজ্জা বা গুরুজনের ভয়ে রোগের কথা প্রকাশ না করিয়া রোগটিকে কঠিন করিয়া ফেলেন, তাহাদিগকে বলা আবশ্যক যে, এই রোগটিকে গোপন রাখা যায় না । পরিনামে এরূপ অবস্হা জম্মে, যাহা সর্ব জনসমক্ষে নিজেই - নিজেকে প্রকাশ করিয়া দেয় । ইহাতে চিরদিনের জন্য স্বাস্হ্য নষ্ট, সর্ব প্রকার সূখ ভোগ হইতে চির দিনের জন্য বঞ্চিত থাকিতে দেখা গিয়াছে । রোগী মাত্রই জানা উচিৎ যে, রোগ আরোগ্য অসাধ্য নয় ।নীচের চিকিৎসা প্রনালী অনুযায়ী রোগ আরোগ্য অতি সহজে করা যায় ।
চিকিৎসা পদ্ধতি :- ০১ । Arsenic alb :- রোগীর কোমল উপদংশ ক্ষতে ইহা উপকারী । ক্ষতে অত্যাণ্ত জ্বালা জনক বেদনা থাকে, ক্ষত পঁচতে শুরু হয় ।স্রাব ক্ষতি কারক, উত্তাপে যন্ত্রনার উপসম, রোগীর অস্হিরতা, চটপটানী, অবসণ্নতা এবং মৃত্যু ভয় অতিশয় প্রবল । পূনঃ পূনঃ সামান্য পরিমানে জল পানের আকাংখা থাকে ।
সেবন বিধিঃ- তরুন রোগে 3x শক্তির ১ মাত্রা করে ৩/৪ ঘণ্টা পর পর সেবনের পর ক্রমশঃ 3০, 2c, 1m শক্তির কয়েক মাত্রা সেব্য । তো শক্তিকৃত ঔষধের প্রয়োগের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করে সেবন করিতে হবে ।

০২ ।Mercurius sol :- ইহা সিফিলিস রোগের দ্বিতীয় অবস্হা। লিঙ্গ মুণ্ডে ক্ষত প্রকাশ পায় এবং রোগীর জিহ্বা মোটা অনূভব হয় ও সাদা বর্নের ক্লেদাবৃত থাকে, জিহ্বা রসালো থাকা সত্ত্বে ও পূনঃ পূনঃ পানি পানের পিপাসা থাকে, প্রচুর ঘামে, অনেক সময় ঘুমের ঘোরে প্রচুর লালা পড়ে বালিশ ভিজে যায় । নিঃশ্বাসে ও মুখ থেকে অত্যাণ্ত দূর্গণ্ধ বের হয় । বিছানার গরমে রোগ লক্ষন বৃদ্ধি পায় ইত্যাদিতে ইহা খুব উপকারি ঔষধ ।
অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, মূএদ্বার দিয়া বির্য আকারের সাদা সাদা ফোটায় ফোটায় পূঁজ মূত্রদ্বারে জমা হইয়া সারাক্ষন-ই ঝরতে থাকে ।এ ক্ষেএে না দেখে বিষয়টি অনুভব করা যায় না । যদি নিশ্চিত হওয়া যায় তাহলে একমাত্র Merc. sol- ই সূনির্দিষ্ট ঔষধ। সাধারনতঃ ২/৩ টি ডোজ দিলেই রোগী ভালো হয়ে যায় ।

০৩ । Calotropis Gig :- ক্ষত স্হানের মাংস খসিয়া পড়িলে ইহা ব্যাবহারে ক্ষতস্হানে নতুন মাংস হইয়া পূর্ন হয় । উপদংশ পীড়ায় Merc sol ই উৎকৃষ্ট ঔষধ । যদি Merc sol ব্যবহারে উপকার পাওয়া না যায়, তা হলে Secandary stage - এ ইহা ব্যাবহারে উপকার পাওয়া যায় ।

০৪ । Acid nit :- সিফিলিসের ক্ষতে খোচা মারা ব্যাথা তথায় Acid nit -2c, সকাল বিকাল ২/১ মাএা সেবন করিতে দিবেন উপকার হইবে ।অতি মাএায় পারদের অপব্যবহারের কুফল এবং প্রমেহ সহ সিফিলিস রোগে ইহা অধিক কার্যকরি ।
উপরোর্ত্ত শক্তিতে উপকার না হইলে ক্রমশঃ 1m, 10m বা আরো উচ্চ শক্তি ব্যবহার্য ।
উপরোক্ত লক্ষন অণুযায়ী যে কোন একটি হোমিও ঔষধের সহিত বায়ো কেমিক Calc. Floor - 6x, 12x, 30x এবং Kali Mur - 6x, 12x, 30x; ২টি + ২টি =৪টি করে ভরা পেটে সেবনের পর ২০০x শক্তি র কয়েক মাত্রা সেবন অব্যর্থ ।
অবশ্য ধাতুগত দিকটি প্রথমে বিবেচনায় নিতে হবে ।
পথ্যাপথ্য :- আক্রান্ত স্হান পরিস্কার রাখিবে । ২৫০ml হালকা গরম পানির সহিত ১০ml Calandula -Q মিশ্রিত করিয়া ক্ষতস্হান ধৌত করিলে উপকার পাওয়া যায় । এ ক্ষেএে মাছ, মাংস, ডিম, মদ পান নিষিদ্ধ ।
দুধ, মাখন, ঘৃত এবং নিরামিষ আহার বিশেষ হিতকর ।
সর্তকতা :-পূনরায় যেন অসৎ মেয়ের কাছে ছেলে এবং অসৎ ছেলের কাছে মেয়ে না যায়, সে বিষয়টি ডাক্তার যেন রোগীকে একান্তভাবে বুঝিয়ে বলেন ।
উল্লেখ্য যে, গনেরিয়া বা সিফিলিস রোগ জম্মিলে প্রায়ই বাগী(Bubo) হয় । কুচকিতে বাতাদিদোষ সঞ্চিত হইলে প্রায়ই বাগী জম্মে ।
ধন্যবাদান্তে- ডাঃ এম. নূর এ - আলম মাসূদ ।
“ বংশাই “ হোমিও
রূপায়ন মডেল টাউন
ভুইগড় বজার বাসষ্ট্যাণ্ড
ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ ।
মোবাইলঃ-০১৭৬১-৮৫০২৮০

ব্রণ কি? কেন হয়? ব্রণ থেকে মুক্তির উপায় ও হোমিও চিকিৎসা?

ব্রণ কি? কেন হয়? ব্রণ থেকে মুক্তির উপায় ও হোমিও চিকিৎসা?

আমরা জানবো ব্রণ কি? সেবা সিয়াস গ্রন্থি সেবাম নামে এক প্রকার তৈলাক্ত পদার্থ নিঃসরণ করে যা ত্বককে মসৃণ রাখে। কোনো কারণে সেবা সিয়াস গ্রন্থির নালির মুখ বন্ধ হয়ে গেলে সেবাম নিঃসরণের বাধার সৃষ্টি হয় এবং তা ভেতরে জমে ফুলে উঠে যা ব্রণ (acne) নামে পরিচিত। ব্রণ তৈরি হওয়ার পর্যায়ে এর মুখ বন্ধ থাকায় সাদাটে দেখায়। বন্ধ নালির মুখে জমা কৃত কোষগুলি আস্ত আস্তে কালো হয়ে গেলে তাকে কালো ফোঁটা বলে। প্রায়ই ব্রণের চারপাশে প্রদাহ শুরু হয় এবং এর রং লাল দেখায়। এর উপর জীবাণু সংক্রমণ ঘটলে পুঁজ তৈরি হয়। বাইরে থেকে এদের ছোট দেখালেও এরা বেশ গভীর হতে পারে। এজন্য ব্রণে সংক্রমণ সেরে গেলেও মুখে দাগ থেকে যেতে পারে। ব্রণ কেন হয়? ব্রণের সুনির্দিষ্ট কারণ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত না হলেও সাধারণত দেখা যায় হজমের গোলমাল, সুরাপান, বয়ঃসন্ধিকালে কিংবা অন্যান্য কারণে অনেকের মুখে ব্রণ হয়।আবার অনেকেই বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ব্রনের অনেকগূলো কারণের ভিতর বংশগত কারণ একটি অন্যতম কারণ। প্রোপাইনি ব্যাকটেরিয়াম একনিস নামক এক ধরনের জীবাণু স্বাভাবিকভাবেই লোমের গোড়াতে থাকে। এন্ড্রোজেন হরমনের প্রভাবে সেবাম-এর নিঃসরণ ( মাথা, মুখ, ইত্যাদি জায়গায় তেলতেলে ভাব ) বেরে যায় এবং লোমের গোড়াতে উপস্থিত জীবাণু সেবাম থেকে ফ্রী ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করে। অ্যাসিডের কারণে লোমের গোড়ায় প্রদাহের সৃষ্টি হয় এবং লোমের গোড়ায় কেরাটিন জমা হতে থাকে। ব্রণের প্রকারভেদঃ ১) ট্রপিক্যাল একনি– অতিরিক্ত গরম এবং বাতাসের আর্দ্রতা বেশি হলে পিঠে, উরুতে ব্রণ হয়ে থাকে। ২) প্রিমিন্সট্রুয়াল একনি– কোনো কোনো মহিলার মাসিকের সাপ্তাহ খানেক আগে ৫-১০টির মতো ব্রণ মুখে দেখা দেয়। ৩) একনি কসমেটিকা– কোনো কোনো প্রসাধনী লাগাতার ব্যবহারে মুখে অল্প পরিমাণে ব্রণ হয়ে থাকে। ৪) একনি ডিটারজিনেকস– মুখ অতিরিক্ত ভাবে সাবান দিয়ে ধুলেও ( দৈনিক ১/২ বারের বেশি ) ব্রণের পরিমাণ বেড়ে যায়। ৫) স্টেরয়েড একনি– স্টেরয়েড ঔষধ (medicine) সেবনে হঠাৎ করে ব্রণ দেখা দেয়। মুখে স্টেরয়েড, যেমন– বটানোবেট ডার্মোভেট জাতীয় । ঔষুধ একাধারে অনেকদিন ব্যবহারে ব্রণের পরিমান বেড়ে যায় । ব্রণ হলে কী করবেন: * দিনে দুই-তিনবার হালকা সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোবেন। * ব্রণে হাত লাগাবেন না। * তেল ছাড়া অর্থাৎ ওয়াটার বেসড মেকআপ ব্যবহার করবেন। * মাথা খুশকিমুক্ত রাখার চেষ্টা করুন। * পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন এবং নিজের জন্য আলাদা তোয়ালে রাখুন। * রাতে ঠিকমতো ঘুমানোর চেষ্টা করুন। * মানসিক চাপ পরিহার করুন। * প্রচুর পরিমাণে ফল, সবজি খান ও প্রচুর পানি পান করুন। * কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে তা দূর করতে হবে। * ঝাল-মশলাযুক্ত ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। * পুষ্টিহীনতায় ভুগলে প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ব্রণ হলে কী করবেন না: * রোদে বেরুবেন না, রৌদ্র এড়িয়ে চলুন। * তেলযুক্ত ক্রিম বা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন না। * ব্রণে হাত লাগাবেন না। ব্রণ খুঁটবেন না। * চুলে এমনভাবে তেল দেবেন না যাতে মুখটাও তেলতেলে হয়ে যায়। * ব্রণ হলে একেবারেই আচার খাবেন না। তবে মিষ্টি চাটনি খেতে পারেন। * বেশি পরিমাণে নিরামিষ খাবার খান। আমিষ খাবার যতটা সম্ভব না খাওয়ার চেষ্টা করুন। * ডেইরি প্রোডাক্টসের মধ্যে হরমোনাল উপাদান বেশি পরিমাণে থাকে বলে তা খুব সহজে রক্তের সঙ্গে মিশে যায়। এ কারণেই পনির, দুধ এবং দই কম খান। * কোল ড্রিঙ্কস খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিন। * আয়ুর্বেদের মতে অতিরিক্ত ক্রোধের ফলে শরীরে পিত্ত সঞ্চিত হয়। তাই ক্রোধ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখুন। ঘরোয়া পদ্ধতি্তে ব্রণ এবং ব্রণের দাগ দুর করার কিছু সহজ উপায়ঃ ১। কাঁচা হলুদ এবং চন্দনকাঠের গুঁড়ো ব্রণের জন্য খুবই কার্যকর দুটো উপাদান। সমপরিমাণ বাটা কাঁচা হলুদ এবং চন্দন কাঠের গুঁড়ো একত্রে নিয়ে এতে পরিমাণ মত পানি মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করতে হবে।মিশ্রণটি এরপর ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষন পর শুকিয়ে গেলে মুখঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি শুধুমাত্র ব্রণদূর করার কাজ করে না বরং ব্রণের দাগ দূর করতেও সাহায্য করে। ২। আপেল এবং মধু এর মিশ্রণ হচ্ছে ব্রণের দাগ দূর করার সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরোয়া পদ্ধতি। প্রথমে আপেলের পেষ্ট তৈরি করে তাতে ৪-৬ ফোঁটা মধু মিশাতে হবে। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষন অপেক্ষা করে এরপর মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখে এবং কমপ্লেকশন হালকা করে। সপ্তাহে ৫-৬ বার এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি কয়েকদিনের মধ্যে পরিবর্তনটা অনুভব করতে পারবেন। ৩। ব্রণের জন্য তুলসি পাতার রস খুব উপকারী। কারণ তুলসি পাতায় আছে আয়ূর্বেদিক গুণ। শুধুমাত্র তুলসি পাতার রস ব্রণআক্রান্ত অংশে লাগিয়ে রেখে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর কুসুম গরমপানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। ৪। প্রথমে চন্দন কাঠের গুড়োঁর সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। এরপর এতে ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস মিশাণ। গোলাপজল অনেকের ত্বকের সাথে এডজাষ্ট হয় না।তারা সেইক্ষেত্রে গোলাপ জলের পরিবর্তে মধু ব্যবহার করতে পারেন।এই পেষ্ট আপনার ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করবে।সপ্তাহে ৩-৪দিন ব্যবহার করতে পারলে ভাল ফল পাওয়া যাবে। ৫। এছাড়া রাতে শোয়ার আগে ডিমের সাদা অংশ ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় মেসেজ করে সারারাত রাখতে পারেন।এটি আপনার ত্বকের খসখসে ভাব দূর করে।সবচেয়ে ভাল হয় যদি এর সাথে লেবুর রস যোগ করা যায়।আপনি এটি সারারাতও রাখতে পারেন আবার আধ ঘন্টা পরও ধুয়ে ফেলতে পারেন। ৬। প্রতিদিন ৯-১০ গ্লাস পানি খাবেন। ৭। প্রতিদিন রাতের খাবারের পর যেকোন ধরনের মৌসুমি ফল খান। এটি আপনার ত্বককে সতেজ রাখবে।যতটা সম্ভব তেলযুক্ত বা ফাষ্টফুড জাতীয় খাবার পরিহার করুন। ৮। সবসময় বাহির থেকে আসা মাত্র মুখ ফেসওয়াস দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া হালকা গরম পানির স্টীম নিতে পারেন।এতেকরে ত্বকে জমে থাকা ধুলোবালি পরিষ্কার হয়ে যাবে। ব্রণের মহোঔষধ “জায়ফল” জায়ফল– রন্ধন শিল্পে যারা পারদর্শী তাদের কাছে অতিপরিচিত একটি মসলার নাম। খাবারের স্বাদ আর সুগন্ধ বৃদ্ধিতে আর মাংস নরম করতে যার কোন জুড়ি নেই। এবার আসি জায়ফলের একটি যুগান্তকারী গুনের কথায়। সেই গুণটি হলো মুখের ব্রণের চিকিৎসায় এর ব্যবহার। জায়ফলের মধ্যে “মেইস” নামক একটি উপাদান আছে, যা ফাংগাস এবং ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী। ব্রণের মূল কারণ হলো মুখের ত্বকে ব্যাকটেরিয়া এবং ফাংগাসের আক্রমণ। সুতরাং বুঝতেই পারছেন জায়ফল কিভাবে ব্রণের বিরুদ্ধে কাজ করে। প্রথমে একটি বাটিতে জায়ফল গুড়া, মধু এবং একটু দুধ নিন।এবার ভালোকরে এগুলো এমনভাবে মেশান যেন তা পেস্টের মতো হয়।এইরকম পেস্ট বানিয়ে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ব্রণে আক্রান্ত জায়গাগুলোতে ভালভাবে লাগান।পরদিন সকালে হালকা ভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন।এভাবে প্রতিদিন ব্যবহারে আপনি নিজেই ফলাফল টের পাবেন। এই পেস্টটিকে আপনি স্পট ক্রিম হিসাবে মুখের দাগ দূর করতেও ব্যবহার করতে পারেন তবে যারা বহুদিন যাবত ব্রণ সমস্যায় ভুগছেন এবং কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না, তারা আর দেরি না করে কোন অভিজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন । রোগী মাএই জানা উচিত যে, রোগ আরোগ্য অসাধ্য নয়, নীচের চিকিৎসা প্রনালী অনুযায়ী রোগ আরোগ্য অতি সহজে করা যায় ।
হোমিও চিকিৎসা :-
Psorinam - 10M দুই(২) ডোজ দিয়ে চিকিৎসা শুরু করতে হয় ।
Calc. pic :- ছেলেদের মুখের ব্রনের জন্য ব্যবহ্রত হয় । 3x, 30, 2c.
Calc. phos :- মেয়েদের মুখের ব্রনের জন্য ব্যবহ্রত হয় । 3x, 30, 2c.
Kali Brom :- কামচর্চাকারীদের জন্য কার্যকর । 3x, 30, 2c.
Bio :- Kali mure - 6x,12x এবং Cal.c Phos - 6x, 12x.
সেবন বিধি - ২টি + ২টি = ৪টি গরম পানি সহ ভরা পেটে ৩বার সেব্য । অবশ্য চিকিৎসার ক্ষেএে ধাতুগত দিকটিকে প্রথমে বিবেচনায় নিতে হবে ।
বাহ্যিক প্রয়োগ :- Berberis Aqu - Q ১ভাগ ৩ভাগ নারিকেল তৈল, অলিভ অয়েল বা গ্লিসারিনের সহিত মিশ্রিত করিয়া মুখমণ্ডলে দৈনিক ২ বার ব্যবহার করিতে হইবে ।
পরামর্শ :- ব্রন টিপাটিপি করা উচিৎ নয় । কোষ্ঠ পরিষ্কার এবং ঘুম ঠিক রাখিতে হইবে । সহজ এবং পুষ্টিকর আহার করা ভাল ।
ধন্যবাদাণ্তে - ডা. নূর এ - আলম মাসুদ ।
" বংশাই " হোমিও
রূপায়ন মডেল টাউন
ভুইগর বাজার বাসষ্ট্যান্ড ।
ফতুল্লা, নারায়নগঞ্ছ ।
মোবাইল :- ০১৭৬১-৮৫০২৮০

নাকের পলিপাস : কারণ ও চিকিৎসা


নাকের পলিপাস : কারণ ও চিকিৎসা
ন্যাজাল বা নাকের পলিপাস বলতে সাধারণভাবে নাকের ভেতরের এক ধরনের মাংসপিণ্ডকে বোঝানো হয়। এটি দুই নাকেই হতে পারে এবং দেখতে স্বচ্ছ। নাক এবং সাইনাসের আবরণী কোষ হতে উৎপন্ন হওয়া আঙ্গুর ফলাকৃতির এক ধরণের মাংসপিন্ডই পলিপাস ।
এগুলো সাধারণত মসৃণ এবং ফ্যাকাসে বা ধূসর বর্ণের হয়ে থাকে। নাকের পলিপাস অতি পরিচিত একটি সমস্যা। কিন্তু নাক বন্ধ থাকা মানেই নাকে পলিপাস আছে—এ ধারণা ঠিক নয়।

অনেক সময় নাক বন্ধ অবস্থায় এর মধ্যে পিণ্ডাকৃতির কিছু দেখলেই অনেকে তা পলিপাস বলে মনে করেন। নাকের পলিপাস অনেকটা পিণ্ডাকৃতিরই হয়ে থাকে, তবে সব ধরনের পিণ্ডই কিন্তু পলিপাস নয়।
পলিপাসের রং কখনো মাংসপিণ্ডের মতো লাল হয় না। পলিপাস আঙুরের দানার মতো গোলাকার ও ফ্যাকাশে রঙের হয়ে থাকে।
নাকের পলিপাসের প্রকারভেদ
নাকের পলিপাস দুই ধরণের হয়ে থাকে। যেমন:
ইথময়ডাল পলিপাস: এলার্জির কারণে হয়, দুই নাকে হয় এবং মধ্যম বয়সে দেখা যায়।
এন্ট্রোকোয়ানাল পলিপাস: ইনফেকশনের কারণে হয়, এক নাকে হয় এবং শিশু বা কিশোর বয়সে দেখা যায়।
নাকে পলিপাস হওয়ার কারণ
পলিপাস কেন হয় তার সঠিক কারণ এখনো অজানা। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অ্যালার্জিজনিত কিংবা দীর্ঘমেয়াদি নাক ও সাইনাসের প্রদাহই এর প্রধান কারণ। এক-তৃতীয়াংশ রোগীর ক্ষেত্রে সঙ্গে হাঁপানিও থাকে। দুই শতাংশ ক্ষেত্রে ঋতু পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জি দায়ী।
কীভাবে বুঝবেন নাকে পলিপাস হয়েছে
নাকে পলিপাস থাকলে ঘন ঘন যে সমস্যাগুলো দেখা দিতে থাকে তা হলো: নাক বন্ধ থাকা—এক বা দুই নাসারন্ধ্র একসঙ্গে বন্ধ থাকতে পারে। নাক দিয়ে পানি পড়া, বেশি হাঁচি পাওয়া, নাকে কোনো গন্ধ না পাওয়া, মাথাব্যথা থাকা, নাকিসুরে কথা বলা, মুখ হা করে ঘুমানো ইত্যাদি। এই সমস্যাগুলো বারবার হলে একজন হোমিওপ্যাথিক বিশেষজ্ঞকে দিয়ে ভালো করে নাক পরীক্ষা করে নিলেই বিষয়টি ধরা পড়বে।
নাকে পলিপাস হলে যে সমস্যা দেখা দিতে পারে!
নাক বন্ধ থাকা- এক বা দুই নাসারন্ধ্র একসঙ্গে বন্ধ থাকতে পারে
নাক দিয়ে পানি পড়া
বেশি হাঁচি পাওয়া
নাকে কোনো গন্ধ না পাওয়া
মাথাব্যথা থাকা
নাকিসুরে কথা বলা
মুখ হা করে ঘুমানো
চিকিৎসাঃ
----------
Thuja-CM ১ ডোজ দিয়ে লক্ষন অনুসারে নিম্নোক্ত হোমিও ঔষুধগুলিই সাধারণত ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
*Sang.nit
*Sang.can
*Allium cepa
*Acid nit
*Formica R
*Belladona
*Antim Tart
*Nat. sulph
*Bry
ইত্যাদি।
Bio ঔষুধ হিসাবে CALCAREA PHOS-30X ব্যবহৃত হয় এবং Thuja-Q দৈনিক ১-২ বার নাকের ভিতরের পলিপাসে লাগাতে হবে।।
সরাসরি যোগাযোগঃ
বংশাই হোমিও
ভূইগড়,ফতুল্লা,নারায়নগঞ্জ।
মোবঃ০১৭৬১৮৫০২৮০